এই কাজটি শুরু হয়েছিল কাগজে অ্যাক্রিলিক দিয়ে তৈরি একটি চিত্র অঙ্কন দিয়ে, যা মূলত পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের উপর একটি পোস্টারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। প্রায় একই সময়ে, তারেকের একটি নতুন কেনা স্ক্যানার অ্যাক্সেস ছিল, যা তাকে অঙ্কনটি ডিজিটালাইজ করতে এবং প্রথমবারের মতো ফটোশপ ব্যবহার করে পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, তিনি হাতে আঁকা চিত্রটিকে চূড়ান্ত ডিজিটাল আকারে রূপান্তরিত করেন – একটি অভিজ্ঞতা যা ডিজিটাল সম্পাদনার ক্ষেত্রে তার প্রাথমিক অন্বেষণকে চিহ্নিত করে। কাজটি পরে তার ওয়েবসাইট netbiz.com-এ প্রকাশিত হয়, যেখানে এটি দ্রুত বাংলাদেশী দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বাংলাদেশের প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব হিসাবে দেখা যায়। যদিও এটি শেষ পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের উপর পোস্টার প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়নি, তবে এই কাজটি তারেকের শৈল্পিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে প্রতিফলিত করে, যেখানে ঐতিহ্যবাহী চিত্রকর্মটি উদীয়মান ডিজিটাল সরঞ্জামগুলির সাথে মিশে তার বিকশিত অনুশীলনকে রূপ দেয়।
নাজিব তারেক
নাজিব তারেক (জন্ম: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০, নাম: আবু নাজিব মোহাম্মদ তারেক) বাংলাদেশের ঢাকায় বসবাসকারী একজন বাঙালি শিল্পী, মুদ্রণযন্ত্র এবং লেখক। দেশে নতুন মিডিয়া শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত, তিনি সৃজনশীল প্রকাশের স্থান হিসেবে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রথম শিল্পীদের একজন।
তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম অনলাইন আর্ট গ্যালারীগুলির মধ্যে একটি জোলরং-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, যা এই অঞ্চলের ডিজিটাল শিল্প দৃশ্য গঠনে সহায়তা করেছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে, তারেক বাংলাদেশ এবং বিদেশে বিশটিরও বেশি একক এবং দলগত প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। তার অনুশীলনে প্রিন্টমেকিং, চিত্রকলা এবং নতুন মিডিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী রূপগুলিকে ডিজিটাল পরীক্ষার সাথে মিশ্রিত করা হয়েছে এবং তিনি সমসাময়িক বাংলাদেশী শিল্পে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে এখনও রয়েছেন।